এখন পর্যন্ত ঢাকা-মদিনা রুটে বাতিল হয়েছে অন্তত ১৬টি হজ ফ্লাইট। বাতিল হওয়া ফ্লাইটের নতুন সূচি এখনও ঠিক না হওয়ায় অনিশ্চিত কয়েক হাজার যাত্রীর হজযাত্রা। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের দাবি, যাত্রী সংকটের কারণে ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভুলের কারণে এমন বিপর্যয় বলে অভিযোগ করেছে এজেন্সি।
তবে হজ অফিসের আশ্বাস, দ্রুতই কাটবে সংকট। এদিকে ঢাকা হজ অফিস পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ বছর বাংলাদেশের হজযাত্রী ১ লাখ ২২ হাজার ৪৮২ জন। তাদের জন্য রয়েছে তিনটি এয়ারলাইন্সের ৩৩১টি ফ্লাইট। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ, এবার ৩০ ভাগ যাত্রী সৌদি আরব যাবেন ঢাকা-মদিনা ফ্লাইটে। আর ৭০ ভাগ পৌঁছাবেন ঢাকা-জেদ্দা ফ্লাইটে।
আর বিপত্তি বেঁধেছে এখানেই। হজযাত্রীরা যেতে না চাওয়ায় ঢাকা-মদিনা রুটে একের পর এক ফ্লাইট বাতিল করতে হচ্ছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সকে। ৮২টি ফ্লাইটের মধ্যে এরই মধ্যে বাতিল হয়েছে ১৬টি। এদিকে বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাবের সভাপতি শাহদাত হোসেন তসলিম জানিয়েছেন, বাতিল হওয়া ফ্লাইটের নতুন সূচি এখনও ঠিক হয়নি। তাই অনিশ্চিত কয়েক হাজার মানুষের হজযাত্রা।
এজেন্সিগুলোর অভিযোগ, তাদের মতামত না নিয়েই ঢাকা-মদিনা ফ্লাইটে ৩০ ভাগ যাত্রী নেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। যদিও হজ অফিসের দাবি, ফ্লাইট বাতিল হলেও কোনো সংকট তৈরি হয়নি। দ্রুতই সৌদি সিভিল এভিয়েশন থেকে নতুন ফ্লাইটের সূচি পাওয়া যাবে। সময় মতো ভিসা ইস্যু না করায় এবার অনেকেরই হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এদিকে সৌদির উদ্দেশে সবশেষ হজ ফ্লাইট ছেড়ে যাবে ২৪ জুন। গত ২১ মে শুরু হয় এ মৌসুমের হজ ফ্লাইট। এ বছর সৌদি আরবে হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন মোট ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন। এদের মধ্যে ৬১ হাজার ১১১ জনকে বহন করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বাকিরা যাবেন সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স ও নাস এয়ারে। এখনও হজে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় ৫৩ হাজার যাত্রী।